জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে সংস্থাভুক্ত সবগুলো দেশে প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর পালিত হয় ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো ‘সবার জন্য খাদ্য’ নিশ্চিত করে বিশ্বকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত রাখা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য উৎপাদনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর সময়োপযোগী প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- পারিবারিক কৃষি : প্রকৃতির সুরক্ষা, সবার জন্য খাদ্য।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে ২০১৪ সনকে পারিবারিক কৃষি বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি খুবই যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে। কারণ, খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে সুসম উৎপাদন, বণ্টন ও ভেজালমুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের নিশ্চয়তার ওপর। পারিবারিক কৃষির মাধ্যমে এসব শর্ত পূরণ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। পারিবারিক কৃষি বা ফ্যামিলি ফার্মিংয়ের একটি বড় সুবিধা হলো এতে পরিবারের সাধ্যমতো সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায়সহ প্রতিটি পণ্যের খাদ্যমান অটুট রেখে উৎপাদন করা যায়। অধিকন্তু উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় লাভ বেশি হয়।
মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো খাদ্য। তাই বর্তমান সরকার দেশের মানুষের এ মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্যের আলোকে গৃহীতব্য বিভিন্ন কার্যক্রম খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সহায়ক হবে একথা নিশ্চিত করে বলা যায়।
প্রিয় পাঠক, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য র্যালি, বিশেষ টক শো, সেমিনার, খাদ্য প্রদর্শনীসহ পোস্টার, জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র ও কৃষিকথার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি এসবই বিশ্ব খাদ্য দিবসের সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্ব খাদ্য দিবস সফল হোক, সার্থক হোক এ কামনায় সবাইকে শুভেচ্ছা।